পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন জরুরি : বিজিএমইএ সভাপতি

পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন জরুরি : বিজিএমইএ সভাপতি

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ‘আউটকাম বেসড পাঠ্যক্রম উন্নয়ন’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রো ফাইবার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এম এস জামান। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মো. মাহবুবুল হক, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. একেএম ফজলুল হক, ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খানসহ বিভিন্ন পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বিজিএমইএ-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা নেহাত কম নয়। আরো নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু গুণগত শিক্ষা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হাতে গোনা। সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তকের সঙ্গে শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কোনো মিল নেই। ফলে প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যায়গুলো থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী বের হলেও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ কর্মী পায় না। এ অবস্থার পরিবর্তনে বিশ্ববিদ্যালগুলোর পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা অতি জরুরি বলে সন্তব্য করেন বিজিএমইএ সভাপতি। এ সময় তিনি ‘আউটকাম বেসড পাঠ্যক্রম উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালা আয়োজন করার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান। এটি একটি সময়পোযোগী কর্মশালা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টরে অসীম সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। এখন বিশ্ব বাজারে গার্মেন্ট শিল্পের ৬. ৬৩ শতাংশ শেয়ার চীনের দখলে রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি বাংলাদেশের দখলে আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য শিক্ষার্থীদেরকে গার্মেন্টস সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার আহ্বান জানান তিনি। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সততার সঙ্গে ধৈর্য্য ধরে পরিশ্রম করলে গার্মেন্টস সেক্টরে খুব দ্রুত উন্নতি লাভ করা যায়। ক্যারিয়ারের শীর্ষে পৌঁছার জন্য দরকার সততা, ধৈর্য্য ও পরিশ্রম।

সভাপতির বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমকে শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন উপযোগী করার জন্য ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের কর্মশালা সেই র্কমসূচিরই অংশ। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লেকচার সিরিজের আয়োজন করা হয়, যেখানে সফল শিল্প উদ্যোক্তারা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিজেদের ভাবনা বিনিময় করেন এবং নিজেদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শোনান। আমাদের রয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়।আমাদের রয়েছে ডিপার্টমেন্ট এন্ট্রাপ্রেনারশিপ যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে তৈরি করছে। আমাদের পুষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বোতলজাত পানি উৎপাদন করে থাকে।

ড. মো. সবুর খান আরো বলেন, আমরা প্রায়ই শুনি যে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরে প্রচুর বিদেশী বিশেষজ্ঞ কর্মী আছেন যারা প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে লাখ লাখ টাকা বেতন হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিকল্প বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে নেই বলে তাদেরকে রাখতে হচ্ছে। কিন্তু গামেন্ট সেক্টরের কোন লেভেলে বিদেশী কর্মীরা রয়েছে সে বিষয়ে আমরা সঠিক তথ্য পাইনা। যদি সঠিক তথ্য পাওয়া যায় তাহলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ওই বিদেশী বিশেষজ্ঞ কর্মীর বিকল্প মানবসম্পদ তৈরি করতে সচেষ্ট হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ড. মো. সবুর খান।

Sharing is caring!

Leave a Comment