শিখুন তথ্যপ্রযুক্তি

শিখুন তথ্যপ্রযুক্তি

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

বর্তমান যুগ অনেকটাই তথ্যপ্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। অনেকেই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান। স্বল্প শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রশিক্ষণের কারণে অনেকেরই বেশি দূর যাওয়া সম্ভব হয় না। বর্তমানে দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেরই তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে কমবেশি লোক দরকার হয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রতিষ্ঠানগুলো চায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগ দিতে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে কাজ করতে এবং দক্ষতা বাড়াতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) বিকেআইআইসিটি কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে বলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। চাইলে আপনিও যেকোনো একটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ খাতে শুরু করতে পারেন চাকরি বা কর্মজীবন। এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিলে চাকরি পাওয়াটাও খুব সহজ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ
বিসিসি তথ্যপ্রযুক্তির যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে, তার মধ্যে রয়েছে হার্ডওয়্যার মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ট্রাবলশুটিং, অফিস অ্যাপ্লিকেশন, গ্রাফিকস ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া, ওয়েবসাইট ডিজাইন অ্যান্ড ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, সার্ভার অ্যান্ড ইন্টারনেট সিকিউরিটি, ডেটাবেইস অ্যাপ্লিকেশন, অ্যানিমেশন, নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, জাভা প্রোগ্রামিং, সাইভার সিকিউরিটি ইত্যাদি।

ভর্তির যোগ্যতা ও আবেদনের প্রক্রিয়া

বিসিসি সূত্রে জানা গেছে, এখানে প্রশিক্ষণ নিতে হলে প্রার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ভেদে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগবে ন্যূনতম এইচএসসি থেকে স্নাতক পাস এবং পাশাপাশি থাকতে হবে কম্পিউটার চালানো ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা।
আবেদন করতে হলে প্রার্থীকে www.bcc.net.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে বা সরাসরি অফিস থেকে ভর্তির ফরম সংগ্রহ করে আবেদন করতে হবে। আবেদন ফরমের জন্য কোনো ফি দিতে হবে না। আবেদনের সঙ্গে প্রার্থীর সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতার সনদ আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে। আর অনলাইনে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে নির্দিষ্ট তথ্যাদি পূরণ করে দিতে হবে। আর প্রশিক্ষণের জন্য নির্ধারিত কোর্স ফি ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। বিসিসিতে বছরে দুই সেশনে ভর্তি হওয়া যায়। জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুন থেকে ডিসেম্বর। এখন জানুয়ারি থেকে জুন সেশনের ভর্তির কার্যক্রম চলছে। এখানে প্রশিক্ষণের ক্লাসগুলো সকাল ও সন্ধ্যায় দুই সময়েই নেওয়া হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রার্থীকে সনদ দেওয়া হয়।

নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও খরচাপাতি
বিসিসি প্রার্থীদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এতে প্রার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন করে থাকে। তারপর তাঁদের চূড়ান্তভাবে ভর্তি  করা হয়। বিসিসিতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চাইলে প্রার্থীদের বিষয়ভেদে তিন হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি দিতে হয়।

কাজের ক্ষেত্র
দেশের স্কুল, কলেজ, আইটি ফার্ম, মোবাইল ফোন কোম্পানি, ব্যাংক, বিমান সংস্থা, ট্র্যাভেল এজেন্সি, শেয়ারবাজার, বায়িং হাউস ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকের অনেক চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের মতো মুক্ত পেশায় কাজ করে বা নিজেও আইটি ফার্ম খুলে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ আছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পেশা গড়তে চাইলে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

আরও জানতে
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বা বিসিসিতে ভর্তিসংক্রান্ত বা অন্য কোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায়-
বিসিসি ভবন, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭
ফোন: ৮১৪৪৬৬৯                                       favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment