ফুড সেক্টরে ক্যারিয়ার সম্ভাবনা

ফুড সেক্টরে ক্যারিয়ার সম্ভাবনা

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

দেশে ফুডস সেক্টর দিন দিন উন্নতি করছে। বাড়ছে এ সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ। আশির দশকে যেখানে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ছিল, সেখানে এখন অনেকগুলো কোম্পানি ব্যবসা করছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে বিস্কুট, মুড়ি, চা ইত্যাদি। ক্রমবিকাশমান এই সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত বিক্রয় প্রতিনিধি বা সেলস অফিসারদের সংখ্যা। সেলস অফিসার বা বিক্রয় প্রতিনিধিরা দোকানদারদের কাছ থেকে পণ্যের অর্ডার নেন। পণ্যের গুণাগুণ বুঝিয়ে বলেন। ডেকো ফুডস লিমিটেড, অলেম্পিকের মতো কোম্পানিতে সেলস অফিসার পদে চাকরির জন্য স্নাতক উত্তীর্ণ বাধ্যতামূলক। তবে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ বা আরও বেশি যোগ্যতা থাকলে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বেশি মিলবে। অভিজ্ঞতা থাকলে কোনো কোনো কোম্পানি শিক্ষাগত যোগ্যতায় ছাড় দেয়।

একটি বেসরকারি কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আঞ্জুমান আরা ঝুমা জানান, সেলস প্রমোশন অফিসার পদে ফুডস, বেভারেজসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে সারাবছরই লোক নিয়োগ করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সিভি পাঠাতে বলা হয়। এ ছাড়া সরাসরিও লোক নিয়োগ করা হয়। যোগ্যতা স্নাতক কিংবা মাস্টার্স হলে ভালো হয়। কোনো কোনো কোম্পানি এইচএসসি পাশ লোক নেয়। যারা এ পেশায় একবার নতুন ঢুকতে চান, তাদের কোম্পানি এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এ সময় অবশ্য কোনো টিএ/ডিএ অ্যালাউন্স দেওয়া হয় না।

কোম্পানিগুলো তরুণ, স্মার্ট, চটপটে ছেলেদের এই পদে বেশি পছন্দ করে। বেতন আনুমানিক আট থেকে নয় হাজার। টিএ/ডিএ, ইনসেনটিভ ইত্যাদি নিয়ে প্রায় বিশ হাজার টাকা এই চাকরি থেকে আয় করা সম্ভব। পোস্টিং দেশের যেকোনো জায়গায় হতে পারে। দোকানে গিয়ে অর্ডার নেওয়া, অর্ডারকৃত পণ্য ডেলিভারি হলো কি না তা দেখভাল করা, বিক্রি অনুযায়ী পরিবেশকের পণ্য উত্তোলন নিশ্চিত করা, পণ্যের কভারেজ বাড়ানো—মূলত এগুলোই সেলস অফিসারদের প্রধান কাজ। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সেলস অফিসার পদে কোম্পানিগুলো লোক নেয়। সারাবছরই লোক নেওয়া হয়। অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক নয়। সদ্য পাশ করা ছেলেদেরকেও এই চাকরিতে নেওয়া হয়। সেলস অফিসার বা সেলস প্রমোশন অফিসার পদে চাকরি খুব সহজলতা। আর এই চাকরিতে পদোন্নতি খুব দ্রুত হয়, যেটা অন্য কোনো পেশায় হয় না। একটু ভালো পারফর্ম্যান্স করলে সেলস প্রমোশন অফিসার থেকে সেলস সুপারভাইজার হওয়া সম্ভব। এরপর বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে একবারে বিজনেস হেড হওয়াও অসম্ভব নয়। সেলস প্রমোশন অফিসার থেকে বিজনেস হেড হয়েছেন। দেশের এফএমসিজি সেক্টরে এমন নজির রয়েছে। পণ্য বিক্রির প্রাথমিক পর্যায়ে এসও বা সেলস অফিসাররা কাজ করেন। এ জন্য প্রতিটি এফএমসিজি কোম্পানি সেলস প্রমোশন অফিসারদের সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে কার্পণ্য করে না।

পণ্যের গুণাগুণ, ডিবি-টিপি রেট, ট্রেড অফার, কনজ্যুমার অফার, প্রতিযোগী পণ্যের দাম, অফার ইত্যাদি বিষয় সেলস অফিসারদের জানা থাকতে হয়। এ ছাড়াও কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সময় সেলস অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সেলস অফিসার, সেলস প্রমোশন, টেরিটরি সেলস অফিসার—পদের নামে এমন বিভিন্নতা থাকতে পারে। তবে কাজ একই; দোকান থেকে অর্ডার সংগ্রহ করা। ডেকো ফুডস লিমিটেডের ম্যানেজার একেএম আতিকুল হাসিমের মতে, একজন সেলস প্রমোশন অফিসারের মধ্যে সততা, পরিশ্রম, একাগ্রতা, নিষ্ঠা, কাজকে ভালোবাসা, ইতিবাচক মানসিকতার উপস্থিতি থাকলে দ্রুত সাফল্য অর্জন সম্ভব হতে পারে।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment