কয়েকটি উপকারী কর্মপরিকল্পনা

কয়েকটি উপকারী কর্মপরিকল্পনা

ক্যারিয়ার ডেস্ক

  • নিজের পারফরম্যান্স ঠিক রাখার চেষ্টা করুন

সম্প্রতি আপনি কি কোনো বোনাস পেয়েছেন? বা আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আপনার কাছে প্রশংসা করেছে? তবে বুঝতে হবে আপনি সঠিক পথে আছেন। অর্থাত্ কর্মক্ষেত্রে আপনার পারফরম্যান্স ঠিক আছে। সেটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করুন। জানিয়েছেন ফেলসেন ইন্স্যুরেন্স সার্ভিসের প্রেসিডেন্ট পল ফেলসেন।

  • সমস্যা সমাধান করা চেষ্টা করুন

ইউনিটি পয়েন্ট হেলথ- এর ম্যানেজার, মার্কেটিং এবং যোগাযোগকারী বলেন, আমার কাছে কোন সমস্যা নিয়ে আসার আগে নিজে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করুন। কিছু সমস্যা সঠিক মানুষের সাহায্য দ্বারা ঠিক করা প্রয়োজন হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান অনেকে আলসেমির জন্য ফেলে রাখে।

  • নিজেকে ছাড়িয়ে যান কাজের নতুনত্বে

কীভাবে নিজেকে আরও বেশি দক্ষ করা সম্ভব, কীভাবে নিজেকে আরও পরিণত করা সম্ভব, কীভাবে নিজের কাজকে অন্য সবার চাইতে আরও ভালো করে গড়ে তোলা সম্ভব- এ সব কিছু ভাবতে শুরু করুন এখন থেকেই। একইসঙ্গে শুরু করুন সেইরূপ কাজ করা। ব্রেইনস্ট্ররমিং গ্রুপে যোগ দিন। বাড়তি কোর্স করুন। মোট কথা, নিজেকে বিগত দিনের চাইতে আরও উন্নত করে গড়ে তুলুন।

  • দুঃখিত বলা বন্ধ করুন

অনেকেই নিজ কর্মক্ষেত্রে অকারণে বারংবার ‘দুঃখিত’ অথবা ও’স ংড়ত্ত্ু বলে থাকেন। এটা করার পেছনের কারণটি হলো, নিজেকে অনেক বিনয়ী হিসেবে প্রকাশ করার চেষ্টা। কিন্তু জানেন কী, অতিরিক্ত দুঃখিত বলার কারণে কর্মক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিত্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে? এমন অভ্যাস থাকলে দ্রুত পরিহার করার চেষ্টা করুন

  • অযথা ইন্টারনেটে  ঘোরাঘুরি করা বন্ধ করুন

হয়তো অনলাইন কোনো দোকান থেকে বই কিনতে চাচ্ছেন অথবা ফেসবুকে বন্ধুর সঙ্গে কিছু কথা বলতে চাচ্ছেন, যার ফলে ইন্টারনেটের বিভিন্ন সাইটে ঘোরাঘুরি করছেন। এতে কোনো অসুবিধা একেবারেই নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অফিস টাইমের মাঝে এটা একেবারেই উচিত হবে না। এতে করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খুবই অখুশি হন। কাজের সময়ের মাঝে অন্য বিষয় নিয়ে ইন্টারনেটে পড়ে থাকার ব্যাপারটি অনেকেই গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।

  • নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করুন

শুধু প্রতিষ্ঠানের লাভের জন্যেই নয়, নিজের দক্ষতা, পরিচিতি ও উন্নত ক্যারিয়ার তৈরি করার লক্ষ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। বলেছেন ডেলইত্তে প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজের লিডার মিশেল অ্যারোনেস্টি। তিনি আরো জানান, এক বছরের মাঝে দশটি নতুন নেটওয়ার্ক অথবা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত।

  • চিন্তা করার জন্য কিছুক্ষণ থামুন

আমরা সকলেই ব্যস্ততাকে কেন্দ্র করে দৌড়াচ্ছি। যার ফলে সুস্থিরভাবে চিন্তা করার জন্যে আমাদের একেবারেই সময় নেই। অথচ প্রতিটি বিষয় নিয়েই চিন্তা করা, ভাবা প্রয়োজন রয়েছে। রিয়েল এস্টেট এন্তারপ্রাইজ এবং ‘দ্য বিজনেস অফ গুড’ বইয়ের লেখক জেসন হারবার বলেছেন, নিজের কাজ ও চিন্তার মাঝে স্থান তৈরি করার চেষ্টা করুন। এতে করে কোনো বিষয়কে পরিষ্কারভাবে ভাবার সুযোগ পাবেন।

  • কর্মক্ষেত্রে খুশি থাকার চেষ্টা করুন

কর্মক্ষেত্রে নিজের কাজ ও চারপাশের অবস্থা নিয়ে কখনোই অসন্তুষ্ট হওয়া যাবে না। অল্পতেই খুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে সবসময়। সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করা, নতুন কাজের খোঁজ করা, নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রকে আনন্দময় করে তুলতে হবে নিজের জন্য।

  • সংখ্যা নয় মানের দিকে লক্ষ্য রাখুন

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে অনেকগুলো প্রজেক্টে নিজেকে সংযুক্ত করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ, একইসঙ্গে অনেকগুলো প্রজেক্টে সংযুক্ত থাকার ফলে কোন প্রজেক্টের কাজই যথাযথভাবে শেষ করা সম্ভব হবে না। এতে ফলাফল হবে হিতে-বিপরীত। যে কারণে, বুঝেশুনে সীমিত সংখ্যক কাজের সঙ্গে নিজেকে জড়িত রাখতে হবে। তবে নিজের প্রতিটি কাজ যথাযথভাবে শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।

  • নতুন বছরে কী চান আপনি

এখন থেকেই ভাবা শুরু করুন আগামী বছর নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে কী পেতে চান আপনি? নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে কী অবদান রাখতে চান? লক্ষ্য যেটাই হোক না কেন, নতুন বছর শুরু হবার আগে থেকেই সেইভাবে কাজ করা শুরু করে দিন। তবেই নতুন বছরে অর্জন করা সম্ভব হবে নিজের লক্ষ্য।

  • প্রশ্ন করতে কখনোই ভয় পাবেন না

অনেকেই ভেবে থাকেন, প্রশ্ন করা দুর্বলতার লক্ষণ! অথবা, যারা কিছুই জানে না তারাই প্রশ্ন করেন। এমন ধারণা একেবারেই ভুল। বিভ্রান্তির মাঝে না থেকে কাজ সম্পর্কিত যেকোন বিষয় নিয়ে সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রশ্ন করুন। তথ্য জানুন। এতে করে নিজ কাজের ক্ষেত্রে উপকার হবে।

  • শুধু নিজের ব্যাপারে ভাবা বন্ধ করুন

এক্সিকিউটিভ ক্রিস্টিনা হার্টম্যান বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে শুধু নিজের ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত্ নয়। কোন কিছু বলার আগে নিজেকে অন্যের স্থানে বসিয়ে চিন্তা করতে হবে। এরপর ভাবতে হবে, যেই কথাটি বলতে চাচ্ছেন সেটা অন্যের জন্য উপকারি হবে কি-না।

Sharing is caring!

Leave a Comment