শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা কমান

শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা কমান

  • সম্পাদকীয় ডেস্ক

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১২ লাখ শিক্ষার্থীর অপেক্ষার অবসান হবে আগামী ২৩ জুলাই। এদিন ফল প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার ফল নিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে সব সময় দুশ্চিন্তা থাকে। তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তা এইচএসসির পর উচ্চশিক্ষা নিয়ে। দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এইচএসসি উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থীর লেখাপড়া করার সুযোগ হবে না। আবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার আর্থিক সংগতি অনেক শিক্ষার্থীর নেই। আবাসিক সুবিধা নেই বলে ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী হয় না। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যেসব কলেজে সম্মান শ্রেণি পর্যায়ে পড়ানো হয়, সেখানেও বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে হয়। উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আগ্রহী। এখানে ভর্তির ব্যাপারে এটাও দেখা গেছে, এইচএসসিতে ভালো ফল করা অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। নামে ভর্তি পরীক্ষা হলেও আসলে শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার জন্যই যেন এসব পরীক্ষা হয়ে থাকে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করে সবাই।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার দাবি উঠেছে অনেক দিন আগেই। এ নিয়ে বিস্তর কথা চালাচালি হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন পর্যন্ত একমত হতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১২ লাখ শিক্ষার্থীকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এটা যে কত বড় মানসিক চাপ, তা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা গেলে দেশের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বস্তি দেওয়া যেত। অভিভাবকদের আর্থিক ক্ষতিও রোধ করা সম্ভব হতো। তা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত পরীক্ষা নেওযার ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ভর্তি পরীক্ষার তারিখও শিক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। যেমন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্ভাব্য ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ অক্টোবর থেকে। শুরুতেই বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা। এই প্রতিষ্ঠানে যাদের ভর্তির সুযোগ হবে না তাদের ছুটতে হবে অন্যত্র। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ অক্টোবর। পরদিন ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ। খুলনায় যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে তাদের কি পরদিন চট্টগ্রামে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সম্ভব? এমন তারিখ সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নিতে না পারলেও এমনভাবে তারিখ নির্ধারণ করতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারে।

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment