শিক্ষা নিয়ে ভাবনা

শিক্ষা নিয়ে ভাবনা

  • বিদিতা রহমান

পৃথিবীর সব দেশেই শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু না কিছু সমস্যা দেখা যায়। যেমন: শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতি, শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত হয়ে পড়া ইত্যাদি। অনেক সময় দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া থেকে পিছিয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়। সুতরাং যখন সিলেবাস তৈরি করা হয় তখন লক্ষ্য রাখা উচিত যে, কোনো কারণে যদি শিক্ষক ক্লাসে অনুপস্থিত থাকেন সে ক্ষেত্রে সেই ক্লাস কীভাবে পরিচালিত হবে। ওই দিনের বিকল্প শিক্ষক কে হবেন? ক্লাস রুটিন তৈরির সময়ই যদি এসব বিষয়ে বাড়তি পরিকল্পনা করা হয় তাহলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

বিদিতা রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, স্কুল ও কলেজের অনেক কর্মকর্তারা নিজেদেরকে অনেক সাফল্য থেকে বঞ্চিত রাখেন। আবার কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুর্নীতিপূর্ণ কাজ করেন যার কারণে একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রেষারেষি অনেক পুরোনো বিষয়। কিন্তু যদি সত্যিকার অর্থে নিজের ও শিক্ষার্থীদের উপকার করতে হয় তাহলে এই রেষারেষি বন্ধ করে নিজেদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতেই হবে।

মনে রাখতে হবে সব শিক্ষার্থীর শেখার ধরণ এক রকম নয়। অনেক শিক্ষার্থী সহজেই সবকিছু ভালোভাবে আত্মস্থ করতে পারে; আবার অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় নিয়েও কোনো বিষয় বুঝতে পারে না। কোনো স্কুলের গড় প্রবণতা এরকম হলে সেই স্কুলের শিক্ষার মান কমে যায়। অনেক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আমরা ছাত্রছাত্রীদের মেধা সম্পর্কে কম বুঝি। সবার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন এক নয়, ঠিক তেমনি সবার বোঝার ক্ষমতাও এক নয়। সেই কারণটা বুঝে বিষয়গুলোর সিলেবাস সেই রকমভাবে তৈরি করতে হয়। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে স্কুলের প্রধান ব্যক্তিরা যদি স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করেন তাহলে স্কুলকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

একটি স্কুলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার স্কুলের সঙ্গে জড়িত সকলের একে অপরের প্রতি সম্মান ও বিবেচনামূলক আচরণ। আশা করি ভবিষ্যতের স্কুলগুলো নিজেদের মধ্যে মতবিনিময়ে কোনো ত্রূটি রাখবে না।

লেখক : গবেষণা সহকারী, সেন্ট জন্স ইউনির্ভা‌সি‌টি, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

Sharing is caring!

Leave a Comment