অনলাইন উদ্যোক্তাদের গুরু

অনলাইন উদ্যোক্তাদের গুরু

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা বা উদ্যোগকে লাভের মুখ দেখাতে কোন অবস্থায় কী করতে হবে, কোন বিষয়টি নিয়ে এগোনো সহজ হবে, টেকনিক্যাল ঝামেলাগুলো মিটিয়ে দেওয়ার দাওয়াই—সব নিয়ে হাজির আছেন নিল প্যাটেল। তিনি একই সঙ্গে অনলাইন মার্কেটার, উদ্যোক্তা, এসইও এক্সপার্ট ও পরামর্শক। পাশাপাশি অনলাইনে জনপ্রিয় টেক-বিজনেস লেখকদেরও একজন তিনি। অনলাইন ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসায় তিনি নিজে সফল, অন্যরা কিভাবে সফল হবেন সে পরামর্শও দেন নিয়মিত।

কে এই নিল

ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নিল প্যাটেলের জন্ম ১৯৮৫ সালে। বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের প্রতিবেদনে বিশ্বের শীর্ষ ১০ অনলাইন মার্কেটারের তালিকায় তাঁকে রাখা হয়েছে। অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী বিশ্বের শীর্ষ ১০০ উদ্যোক্তার তালিকায়ও ছিল তাঁর নাম। ওয়েবে শীর্ষ প্রভাবশালীদের একজন হিসেবে তাঁর নাম উঠে আসে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে। ক্রেজি এগ (ভিজিটর ইনসাইট সেবা), হ্যালো বার (ওয়েবসেবা)-সহ কয়েকটি প্রজেক্টের উদ্যোক্তাও তিনি। অ্যামাজন, এনবিসি, এইচপির মতো প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বাড়াতেও পরামর্শ দেন তিনি। দরকারি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিজের সাইটে (neilpatel.com/blog) পোস্ট করেন। অনলাইন বিজনেস-মার্কেটিং নিয়ে www.quicksprout.com সাইটেও নিয়মিত লেখালেখি করেন।

তার সম্পর্কে আরো জানা যাবে—

www.facebook.com/neilkpatel

www.quicksprout.com/about/

ছোট থেকে বিজনেস

স্কুলেই নিলের বিজনেস জীবনের শুরু। নিজের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার কাজিন আমার চেয়ে এক বছরের বড়। সে (তার স্কুলের) শিক্ষার্থীদের কাছে মিউজিক সিডি বিক্রি করত। আমি খেয়াল করলাম, এভাবে তার অল্পস্বল্প আয়রোজগার হতো। আমিও একই কাজে নামলাম। সিডি বেচে অল্প কটা ডলারই হাতে আসত। তাই সিডির বদলে ব্ল্যাক বক্স এন্টারটেইনমেন্ট ডিভাইস বেচা শুরু করলাম। এর কয় দিনের মধ্যেই সারা স্কুলে জানাজানি হলো, স্কুলে কেবল আমিই ব্ল্যাক বক্স বিক্রি করি। বেচাকেনা ভালোই জমল, একপর্যায়ে (জনপ্রিয় বেচাকেনার সাইট) ইবে থেকে কেবল ব্ল্যাক বক্স কিনে সেগুলো স্কুলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিই। একসময় বুঝতে পারলাম, দীর্ঘ সময় ধরে একই জিনিস বেচে আয়রোজগারের নিশ্চয়তা নেই। একদিন খেয়াল করলাম, স্কুলের শিক্ষার্থীদের গাড়ি ঠিক করার জন্য বিভিন্ন পার্টসের দরকার পড়ে। তাই গাড়ির পার্টস বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলাম। এর মধ্যে রিসেলার পারমিটও পেয়ে গেলাম। ফলে ডিসকাউন্টে বিভিন্ন পার্টস কিনে (তুলনামূলক ভালো দামে) বিক্রি করতাম।’

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment