বিনিয়োগ বিষয়ে বাফেটের ৭ পরামর্শ

বিনিয়োগ বিষয়ে বাফেটের ৭ পরামর্শ

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

ওয়ারেন বাফেটের নাম জানেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ও সফল ব্যক্তিদের একজন তিনি। সফল মানুষদের কথা ভাবতে গেলে, না চাইতেও এই অসাধারণ প্রতিভাবান মানুষটির কথা চলে আসে। বিনিয়োগ বিষয়ে তিনি দিয়েছেন ৭ পরামর্শ।


১. মুনাফা পুনরায় বিনিয়োগ করুন

যখন আপনি শেয়ার মার্কেটের প্রথম বিনিয়োগ থেকে মুনাফা লাভ করবেন, তখন সেটা পুনরায় সেখানেই বিনিয়োগ করুন। উদাহরণস্বরূপ—হাই স্কুলে পড়ার সময় বাফেট ও তার বন্ধুরা মিলে একটি পিনবল (এক ধরনের খেলা) মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করেন এবং এই একটি মেশিন থেকে লাভ করা অর্থ দিয়ে আরও চারটি মেশিন অর্থাৎ ব্যবসা পাঁচ গুণ করে ফেলেন।

২. স্রোতের অনুকূলে গা ভাসাবেন না

আর সবাই যা করছে, আপনিও ঠিক তাই করলে চলবে না। মার্কেটে সবাই যখন শেয়ার বিক্রি করছে, তাদের দেখাদেখি আপনিও শেয়ার বিক্রি করতে গিয়ে দেখলেন দাম পড়ে গেছে। আবার যখন সবাই পাগলের মতো শেয়ার কেনা শুরু করেছে, তখন কিনতে গিয়ে দেখলেন যে দাম তো আকাশছোঁয়া। সবসময় সেসব ভালো কোম্পানি খুঁজে বের করুন, যেগুলোর দিকে অন্যদের এখনও দৃষ্টি পড়েনি।

৩. সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না

সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যা কিছু তথ্য এবং বিশ্লেষণ দরকার তা দ্রুত শেষ করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন। মনে করুন, আপনি কোনো শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা যে পরিমাণ বিশ্লেষণ করা দরকার তা করতে পারছেন না, তাহলে এ ক্ষেত্রে আপনি এই শেয়ার কেনার চিন্তা বাদ দিয়ে অন্যটি নিয়ে ভাবুন।

৪. লেনদেনের আগে যাচাই-বাছাই করুন

ব্রোকারেজ হাউসে অ্যাকাউন্ট খোলার আগেই আপনাকে সব বিষয় জেনে বুঝে নিতে হবে। কমিশন কত নেবে, কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন, মার্জিন কত ইত্যাদি। অ্যাকাউন্ট আগে খুলে পরে হতাশ হওয়ার কোনো মানে নেই। ঠিক শেয়ার কেনার আগেও সবকিছু জেনেই কিনুন। কেননা, গুজবে শেয়ার কিনে সেখানে লোকসান গুনে পরে কপাল চাপড়ে কোনো ফলই পাওয়া যাবে না।

৫. খরচের হিসাব রাখুন

যারাই শেয়ার মার্কেট ভালো বোঝেন তাদের ভুল হলো অতিমাত্রায় ট্রেড করা। ফলে যা মুনাফা করছেন তার বেশিরভাগই কমিশন আর মার্জিন লোন শোধ করতেই শেষ হয়ে যায়। তাছাড়া ৩০০ টাকা ব্যয়ে সিএনজিতে করে ব্রোকারেজ হাউসে গিয়ে ট্রেড করার তো কোনো মানে নেই। ইন্টারনেট ব্যবহার করেই ট্রেড করা সম্ভব। এতে যেমন অর্থের অপচয় হবে না, তেমনি সময়ও বাঁচবে।

৬. ধারদেনা থেকে সাবধান

ঋণ করে ব্যবসা করে তেমন মুনাফা করা যায় না। কেননা, যা রোজগার হবে তা ধার শোধ করতেই ব্যয় হয়ে যাবে। ফলে জীবনও অগোছালো হয়ে পড়বে। তাছাড়া বন্ধু কিংবা আত্মীয় অথবা মার্জিন লোন নিয়ে শেয়ার ব্যবসা করা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সবসময় খরচ বাঁচান আর সঞ্চয় থেকে বিনিয়োগ করুন।

৭. অধ্যবসায়ী হোন

ধৈর্য এবং নিষ্ঠার সঙ্গে যে কোনো কিছু করলে তা থেকে সাফল্য আসবেই। সফল শেয়ার ব্যবসায়ী হওয়া খুব সহজ নয়। আপনাকে কোম্পানি এবং সেক্টর বুঝতে হবে। একদিনেই সব হবে না। কিন্তু আজ থেকে যদি চেষ্টা করেন, এক পর্যায়ে দেখবেন অনেক কিছুই হাতের নাগালে চলে এসেছে।

সূত্র : ইন্টারনেট

Sharing is caring!

Leave a Comment