সরকারকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনন্দন!

সরকারকে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনন্দন!

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামক কোম্পানি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান স্বাক্ষরিত এক অভিনন্দনবার্তা গত বুধবার (২১ আগস্ট) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনন্দনবার্তায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই অভূতপূর্ব উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলা গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে বাংলাদেশ অচিরেই বিশ্বের বুকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবে বলে উক্ত অভিনন্দনবার্তায় দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করা হয়। অভিনন্দনবার্তায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কেও ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে একটি উদ্যোক্তাবন্ধব বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখ করে অভিনন্দনবার্তায় আরো বলা হয় যে বিপুল সংখ্যক তরুণ উদ্যেক্তা তৈরির লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে, যেমন: হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতা, গেট ইন দ্য রিং, টেডএক্স, আর ইউ দ্য নেক্সট স্টার্টআপ, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ উইক, গ্লোবাল মানি উইক, ড্যাফোডিল আইসিটি কার্নিভাল, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লেকচার সিরিজ, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ), স্টার্টআপ আইডিয়া ফর ফান্ড, স্টার্টআপ মার্কেট, ড্যাফোডিল বিজনেস ইনকিউবেটর (ডিবিআই) ইত্যাদি। এছাড়া ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চার বছর মেয়াদী ‘ব্যাচেলর প্রোগ্রাম অন ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ’ চালু রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরকে উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রাণিত করতে এই প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট স্কলারশিপের মাধ্যমে ১০% থেকে শতভাগ পর্যন্ত বৃত্তির ব্যাবস্থা রেখেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ নেটওয়ার্কের (জিইএন) সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন : দেশে দেশে সফল স্টার্ট আপ

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি থাকাকালে ২ হাজার উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া ২০১৪ সালে ‘স্টার্ট আপ বাংলাদেশ’ নামে কোম্পানি প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায়ে ড্যাফোডিলের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু যখন জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার একই নামে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে তখন আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেয় ড্যাফোডিল। অবশেষে সরকার সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে জেনে ভীষণ আনন্দিত ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই সরকারের সঙ্গে কাজ করতে পছন্দ করে। ভবিষ্যতেও সরকারের সঙ্গে উদ্যোক্তা উন্নয়নে যে কোনো ধরনের কাজ করতে আগ্রহী ড্যাফোডিল পরিবার।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৯ আগস্ট, ২০১৯) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড’ কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তিনি বলেন, এই কোম্পানি আইসিটি প্রোডাক্ট তৈরি ও বিপণনের জন্য উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দেবে। কোম্পানি কাজ শুরু করলে ঋণের পরিমাণ ও সুদের হার ঠিক করা হবে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন হবে ৫০০ কোটি টাকা। ২০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা। তথ্য প্রযুক্তি সচিব কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন এবং মোট পরিচালক হবেন ৭ জন।

Sharing is caring!

Leave a Comment