কাঁচা আমের কত গুণ

কাঁচা আমের কত গুণ

  • শিমি আক্তার

কাঁচা আম দেখলে আমাদের প্রায় সকলের মুখেই জল চলে আসে। আমের মৌসুমে যদি কাঁচা আম খেতে ভুল করেন, আপনি স্বাদের পাশাপাশি এর ঔষধীগুণ থেকেও বঞ্চিত হবেন।


কাঁচা আমের ব্যবহার

সকলেই পাকা আম খেতে পছন্দ করেন কিন্তু আধা পাকা এবং কাঁচা আমে স্বাদের পাশাপাশি এর অনেক খাদ্যগুণ রয়েছে।  কাঁচা আম দেখতে সবুজ প্রকৃতির ও এর স্বাদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টক হয়ে থাকে তবে কিছুকিছু কাঁচা আম আবার মিষ্টিও হয়। কাঁচা আম দিয়ে হরেক রকম আচার তৈরি করা যায়। এছাড়াও জুস, জ্যাম, চাটনি, সস এবং শুকনো করে পাউডারও বানানো যায়।

কাঁচা আমের খাদ্যগুণ

kacha-am20160411095505কাঁচা আমে অনেক খাদ্যগুণ রয়েছে তার মধ্যে উলে­খযোগ্য হলো : ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এছাড়াও কাঁচা আমে রয়েছে অক্সালিক অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড, সাকসেনিক ও মেলিক অ্যাসিড।

এখানে কাঁচা আমের কিছু গুণের কথা উল্লেখ করা হলো :

  • অক্সালিক, সাইট্রিক, ম্যালিস এবং সাকসাইসিক অ্যাসিডের কারণে এর স্বাদ টক হয়ে থাকে। এর এই স্বাদের কারণে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করা হয়।
  • গরমের সময়ে অনেকের ডায়রিয়া, আমাশয়, তলপেটের যন্ত্রণা, বদহজম এবং অজীর্ণ সমস্যা দেখা দেয়। কাঁচা আম এ সকল সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকরী। আপনি ঘরে বসেই কাঁচা আমকে ছোট ছোট টুকরো করে সামান্য লবণ বা মধু দিয়ে খেয়ে নিন দেখবেন দ্রুত উপকার পাবেন।
  • অতিরিক্ত গরমের বাজে প্রভাব থেকে কাঁচা আম সুরক্ষা দেয়। ক্ষতিকর সুর্যের রশ্মি ও উত্তপ্ত বাতাস স্বাস্থ্য ও ত্বক উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। হিট স্ট্রোক থেকে রেহাই পেতে চিনি দিয়ে কাঁচা আমের জুস করে খেয়ে নিন। এতে শরীরের পানিশূন্যতা কমবে এবং তৃষ্ণা মেটাবে। পাশাপাশি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি দুর হবে। কাঁচা আমের জুস শরীরের সোডিয়াম ক্লোরাইডের সঠিক মাত্রা ধরে রাখতে সহায়তা করে।
  • কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন সি স্কার্ভিরোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে সাহায্য করে। শরীরের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।
  • কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন বি সুস্বাস্থ্যের জন্য অতি প্রয়োজন।
  • কাঁচা আম খেলে শরীরের দুষিত রক্ত পরিষ্কার হয়। এটা রক্তের ভেসেলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং শরীরের রক্তপাতের প্রবণতা প্রতিরোধ করে।
  • কাঁচা আমে থাকা অক্সালিক, সাইট্রিক, ম্যালিস এবং সাকসাইসিক এসিড যকৃতের রোগ প্রতিরোধ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।

সতর্কতা

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে- এক্সেজ অব অ্যানিথিং ইজ ব্যাড। অর্থাৎ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। সুতরাং অতিরিক্ত কাঁচা আম খাবেন না । আপনি যদি পেট পুরে খেতে যান তাহলে গলা জ্বলা ভাব দেখা দিতে পারে। তাছাড়া বদহজম, ডিসেনট্রি, এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। প্রতিদিন এক বা দুইটার বেশি খাওয়া ঠিক নয়। কাঁচা আম খাওয়ার সাথে সাথে পানি পান করা উচিৎ নয়।

সুত্র : মেডিকেলনিউজটুডে।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment