৫৬টি ভাষায় কথা বলতে পারেন যে তরুণ

৫৬টি ভাষায় কথা বলতে পারেন যে তরুণ

  • লিডারশিপ ডেস্ক

‘শেখার সবচেয়ে কার্যকর কৌশলটা খুঁজে বের করুন। আর তাতে লেগে থাকলে আপনি সফল হবেনই।’—বলছিলেন বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ২৯ বছর বয়সী তরুণ মোহাম্মদ মেসিক। তিনি ৫৬টি ভাষায় কথা বলতে পারেন।

তুজলা শহরে মেসিকের জন্ম। তিনি পৌর কাউন্সিলর, আইনবিদ, হিব্রু ও জাপানি ভাষাবিশারদ, মেসিডোনিয়ার প্রেসিডেন্ট জর্জ আইভানভের পরামর্শক প্রভৃতি দায়িত্ব পালন করেছেন। ভিয়েনা থেকে ২০১০ সালের মর্যাদাপূর্ণ ব্রেইনসওয়ার্ক মেইক আ ডিফারেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে বড় গুণটি হলো তিনি ৫৬টি ভাষা জানেন।

কীভাবে শিখলেন? মেসিকের জবাব, ‘বিশ্বটাকে জানার অদম্য ইচ্ছা। তবে কোনো অনুবাদকের সাহায্য নিতে চাইনি। মানুষের সামর্থ্য বিস্ময়কর। সাফল্যের পেছনে এটাই কারণ। অন্যান্য ভাষায় পৃথিবীটাকে ভিন্ন দেখায়। অন্য রকম সেই চিন্তাগুলো সম্পূর্ণ আলাদা ছবি তৈরি করে। এটা একটিমাত্র ভাষায় সম্ভব হয় না। পৃথিবীটাকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করলে ভাবটা অন্য রকম হয়ে যায়। প্রথম আমি যে বিদেশি ভাষাটা শিখলাম, সেটা গ্রিক। মা-বাবার সঙ্গে গ্রিসে বেড়াতে গিয়ে সেখানকার ভাষাটা শিখতে আগ্রহী হই।’

একটা ভাষায় যোগাযোগের জন্য মৌলিক বিষয়গুলো শিখতে মেসিক দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেন। তবে তিনি বলেন, ‘যত বেশি ভাষায় কথা বলি, আরেকটা ভাষা শেখা ততই সোজা হয়ে যায়। কারণ, ভাষাগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। অনেক ভাষার মধ্যে মিল থাকে। আমি বছরে প্রায় ২০০ দিন উড়োজাহাজে কাটাই। বিভিন্ন বক্তৃতা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নিই। তবে অভিযোগ করছি না। সাফল্যের জন্য কিছু তো ছাড় দিতেই হয়।’

মেসিক আরও বলেন, ‘আমার বন্ধু ও পরিচিত অনেকে নিজেদের ব্যর্থতার অজস্র কারণ দেখান। কেউ শিক্ষাব্যবস্থাকে দোষ দেন। কেউ সঠিক মূল্যায়নের অভাব বা পুঁজিবাদের নির্মমতাকে দায়ী করেন। এসবই কিছু না কিছু সত্যি। কিন্তু সত্যি কথা হলো সমস্যাটা আমাদের নিজেদের মধ্যেই থাকে। চাইলে সবকিছুই করে দেখানো যায়। তবে কথা হলো আপনি কতটা চান—সেটাই।’favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment