সৎ সন্তানকে অবহেলা নয়

সৎ সন্তানকে অবহেলা নয়

  • রবিউল কমল

ক্লাসের শেষে বন্ধুদের সাথে ফুচকা খেতে গিয়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হলে আপনার পক্ষ নিয়ে কে গলা ফাটাতো বলুন তো? ছোটছোট ভাললাগা, দুঃখ-কষ্ট শেয়ার করতে যাকে সবসময় হাতের কাছে পেতেন সেই বা কে ছিল? উত্তরটা সবার ক্ষেত্রেই হযতো মিলে যাবে।  ভাই বা বোনের থেকে ভালো বন্ধু আর কেই বা হতে পারে? তবে সে যদি আপনার সৎ ভাই হয়, তাহলেও কি ঠিক একই ইকুয়েশন বা সমীকরণ শেয়ার করা সম্ভব?

অসুবিধা কোথায়? আসলে সৎ ভাই-বোনের সম্পর্ক আর পাঁচজনের মতো স্বাভাবিক হবে না, এই মানসিকতাটিকে সবার আগে মাথা থেকে বের করা জরুরি। বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিজের সন্তানের সঙ্গে সঙ্গে অপর সন্তানটিকেও সমানভাবে বড় করে তোলা। পরিস্থিতির কারণে বা অন্যকারণে হোক, আপনি জিনে-বুঝেই কিন্তু একটি সম্পর্কে জড়ান। তাই নিজের সন্তানের সঙ্গে সৎ সন্তানটিও কিন্তু আপনারই।  তাই আপনার দায়িত্ব প্রথম থেকে ছেলে বা মেয়ের মানসিকতা এমনভাবে তৈরি করুন যেন সে তার সৎ ভা ই বা বোনটিকে আলাদা চোখে না দেখে।  ওদের মধ্যে সুন্দর বন্ধন গড়ে তোলার দায়িত্ব একান্তই আপনার।

যদি সম্ভব হয় দু’জনকে একসাথে কোনো সৃজনশীল ক্লাসে ভর্তি করে দিন।  এতে ওরা একসঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পারবে। একসঙ্গে ডিনার করা, ছুটির দিনে একসঙ্গে পরিবারের সাথে সময় কাটানো ইত্যাদি ওদেও বন্ধন আরো দৃঢ় করবে।

অবসর সময়ে ওরা যদি একসঙ্গে কোনো কাজ করে, তাহলেও ওদের একজন অপরজনকে খুব কাছ থেকে বুঝতে পারার সুযোগ পাবে।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment