ঐশীর ফাঁসি !

ঐশীর ফাঁসি !

নিউজ ডেস্ক: ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগে নিজেদের বাসায় নৃশংসভাবে বাবা-মাকে খুন করা আলোচিত ঐশীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার রায় দিয়েছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যার দায়ে তাঁদেরই মেয়ে ঐশী রহমানের বিরুদ্ধে এই ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করার জন্য অপর দুই আসামি, ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও আসাদুজ্জামান জনিকে খালাস দিয়েছে আদালত।

হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ঘটনার সময় আসামি ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিবেচনায় ঐশীকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে এ মামলার বিচারকাজে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ প্রদান করেন। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ৪ নভেম্বর মামলার রায় ঘোষণার আজকের এই তারিখ ধার্য করেন বিজ্ঞ আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত ঘোষণা করছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পরিকল্পিত ও নৃশংস। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ঘটনার সময় আসামি ঐশী প্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। নৃশংস হত্যাকাণ্ড বিবেচনায় ঐশীকে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানী ঢাকার চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। একই দিন নিহত দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে তাঁর বাবা-মাকে খুন করার কথা স্বীকার করে। favicon

Sharing is caring!

Leave a Comment