তৃণমূলে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ

তৃণমূলে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ

  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

শহর এবং গ্রামের মানুষ যাতে সমানভাবে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেজন্য সরকার তৃণমূল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়িত হওয়ায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ায় বর্তমানে দেশে কোনো ডিজিটাল বৈষম্য নেই। শুধু তাই নয় তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষে গ্রামের মানুষ আজ বিশ্বগ্রামের সঙ্গে যুক্ত।

আজ শনিবার সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ইনফোলিডার হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তৃণমূলের তথ্যজানালা কর্মসূচির তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে তথ্য সেবা বার্তা সংস্থা (টিএসবি)।

বক্তারা বলেন, ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, স্মার্ট ফোনসহ ডিজিটাল যন্ত্রে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করায় গ্রামের মানুষও এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে তা জানতে পারছে।’

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা বলেন, সরকার তথ্য ও সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে। এসব ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারাই সরকারের ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।

তিনি বলেন, ইউডিসি উদ্যোক্তাদের তৃনমূলের তথ্যজানালা কর্মসূচির আওতায় প্রতিবেদন, ফিচার, আউটসোর্সিং ও ই-কমার্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা তৃণমূলের তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিজেদের ইনফোলিডার হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

সুশান্ত বলেন, আউটসোর্সিং ও ই-কমার্সের প্রশিক্ষণ ইউডিসিগুলোকে একেকটি মিনি বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং সেন্টার (বিপিও) সেন্টার হিসেবে গড়ে তোলার পথ সুগম করবে।

অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি অজিত কুমার সরকার বলেন, বিগত বছরগুলোতে ডিজিটাল ছোঁয়ায় গ্রাম বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। ব্যবসা-বানিজ্য, চাষাবাদ ও পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসার ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ইউডিসি, স্মার্টফোনসহ ডিজিটাল ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা থাকায় গ্রামের মানুষও বিশ্বগ্রামের সঙ্গে যুক্ত।

তিনি বলেন, ইইডসি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবেদন, ফিচার, আউটসোর্সিং ও ই-কমার্সে দক্ষ করে তোলা হলে তারা আরও গঠনমূলকভাবে তৃণমূলের তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করবে এবং মানুষের উন্নয়নে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করায় ভূমিকা পালন করবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন টিএসবির সহকারি সম্পাদক প্রতীক মাহমুদ।

তিন বছর মেয়াদি তৃণমূলের তথ্য জানালা কর্মসূচির বাস্তবায়নে পরামর্শ সহযোতিা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম ও বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে টিএসবি।

সূত্র: প্রিয়.কম

Sharing is caring!

Leave a Comment