দৃকে ‘রোহিঙ্গাদের না বলা গল্প’ নিয়ে শিল্প প্রদর্শনী শুরু

দৃকে ‘রোহিঙ্গাদের না বলা গল্প’ নিয়ে শিল্প প্রদর্শনী শুরু

  • সংস্কৃতি ডেস্ক

নির্মেঘ ফাউন্ডেশন এবং  আর্ট ফর কজ : পার্ট – ১ এর উদ্যোগে এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশন্যাল ইউনিভার্সিটির পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীর দৃক গ্যালারীতে ১৩-১৫ জুলাই ‘রোহিঙ্গাদের না বলা গল্প’ শিরোনামে এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটকে উপজীব্য করে চিত্রশিল্পী, আলোকচিত্রী এবং গ্রাফিক ডিজাইনারদের সমন্বয়ে গঠিত ২৫ সদস্যের একটি দল তাদের মেধা আর সৃজনশীলতা দিয়ে দক্ষ তুলির আঁচড়ে রোহিঙ্গাদের আবেগ-অনুভূতি, সংগ্রাম ও বেঁচে থাকার নিদারুণ কষ্টের চিত্র তুলে ধরেছেন।

গতকাল শুক্রবার (১৩ জুলাই ) ধানমন্ডির দৃক গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ত্রাণ ও দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, এমপি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম গোলাম রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য ভাস্কর মৃণাল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের অধ্যাপক মুস্তাফিজুল হক। বক্তব্য রাখেন ‘আর্ট অব কজ’ এর সভাপতি মো. শাদাব নাভিদ, সাধারণ সম্পাদক জেরিন সুবাহ রোদেলা ও নির্মেঘ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইন্টারন্যাশনাল তার্কিস হোপ স্কুলের ও লেভেল পরীক্ষার্থী ফারিয়া সাফা খান।

এ আয়োজনের প্রধান পৃষ্ঠপোশক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও স্ট্র্যাটিজিক পার্টনার নির্মেঘ ফাউন্ডেশন।  প্রদর্শনীতে ঢাকার ইংরেজি মাধ্যমের বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ২৫ জন শিক্ষার্থীর আকা ৪০ টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। আয়োজকরা জানান, এ প্রদর্শনীতে বিক্রিত শিল্পকর্মের সমুদয় অর্থ নির্মেঘ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

‘আর্ট ফর কজ’ হচ্ছে গ্রীন হ্যারাল্ড স্কুলের গ্রেড ১২ এর শিক্ষার্থী মো. শাদাব নাভিদ ও দীপ্ত বিশ্বাস, জেরিন সুবাহ রোদেলা ও ফারিয়া সাফা খানের যৌথ উদ্যোগ। আয়োজন সর্ম্পকে তারা বলেন, প্রথমে তারা দুই দফায় রোহঙ্গিা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গারা কি অমানবিক ও মানবেতরভাবে জীবনযাপন করছে, তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরাই আমাদের এ আয়াজনের মূল উদ্দেশ্য। সবাই বলে রোহিঙ্গাদের এ দুর্দশা লাঘব করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরী, কিন্তু কেউই কজের কাজ করছে না। তাই রোহিঙ্গাদের করুণ দূর্দশার চিত্র বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে আমরা রংতুলি হাতে তুলে নিয়েছি এবং আমাদের মেধা, সৃজনশীলতা ও সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা উজার করে দিয়ে রোহিঙ্গাদের বাস্তব চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করেছি। ছবি কথা বলে এবং ছবিই যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম বিবেচনা করেই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীকে বেছে নিয়েছেন বলে জানান আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা শাদাব নাভিদ। প্রদর্শনী প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬-৯ টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। 

Sharing is caring!

Leave a Comment