ঢাবি শিক্ষার্থীর ইন্দোনেশিয়া জয়

ঢাবি শিক্ষার্থীর ইন্দোনেশিয়া জয়

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত রিয়াও ইন্টারন্যাশনাল ইয়্যুথ সামিট ২০১৬-এ ‘সেরা অ্যাকশন প্ল্যান’ অ্যাওয়ার্ড জিতলো বাংলাদেশের আহসান রনি ও তার টিম। সামাজিক উদ্যোগ বিষয়ক একটি প্ল্যান তৈরী করে বিশ্বের ৬টি দেশের সদস্য সমৃদ্ধ ১২ সদস্যের এই দলটি সেরা আইডিয়া বা ‘সেরা অ্যাকশন প্ল্যান’ অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আহসান রনি জানান, গত ৬ই ডিসেম্বর রিয়াও ইন্টারন্যাশনাল ইয়্যুথ সামিট ২০১৬-তে অংশ নিতে রওনা হয় ৭ সদস্যের বাংলাদেশ দল। বিশ্বের মোট ২১টি দেশের ১৫০ জন পার্টিসিপেন্ট অংশ নেয় তরুণদের এই সম্মেলনে। এই সামিটের আয়োজনে ছিলো ইন্দোনেশিয়ার পেকানবারু রাজ্যের সরকার। রাষ্ট্রীয় সকল সুবিধা দিয়ে পার্টিসিপেন্টদের নিয়ে যাওয়া হয় পেকানবারু শহরে।

2চারদিনের সামিটের প্রথম দিনে ছিলো ইন্দোনেশিয়ার পেকানবারু শহরের গভর্নরের সৌজন্যে ডিনার ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিন থেকে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে ছিলো ইন্দোনেশিয়ার দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখা এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময়। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তরুণদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরী করা এবং সারা পৃথিবীর জন্য তাদেরকে একসাথে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করা। এরই অংশ হিসেবে ১৫০ জন তরুণকে অনেকগুলো গ্রুপে ভাগ করে শিক্ষা ব্যবস্থা ও উদ্যোগ নিয়ে নতুন আইডিয়া ও সেই আইডিয়া থেকে কিভাবে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেই প্ল্যান করার জন্য বলা হয়।

আহসান রনি বলেন,‘‘যখন ফর্ম পূরণ করি তখনই জানতে চাওয়া হয়েছিলো আমি কোন ধরনের কাজ করতে চাই। আমি উত্তরে দিয়েছিলাম উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে চাই। ফলে সামিটের সময় আমাকে উদ্যোগ গ্রুপে দেওয়া হয়। আমাদের গ্রুপে আমি ছিলাম বাংলাদেশের প্রতিনিধি। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, মেক্সিকো, থাইল্যান্ডের মোট ১২ জন সদস্য ছিলো। আমরা সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা শুরু করি এবং আলোচনার মাধ্যমে ‘সনেকশন’ নামে একটি সামাজিক উদ্যোগ বের করি ও সেটির পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেই। সামাজিক উদ্যোগগুলোকে আর্থিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও নেটওয়ার্কিং বিষয়ক সহায়তা প্রদানের অনলাইন প্লাটফর্ম হচ্ছে ‘সনেকশন’। সকল গ্রুপের আইডিয়া ও প্রেজেন্টেশনের উপর বিচার করা হয়; সার্বিক বিচারে উদ্যোগ বিভাগে ‘সেরা অ্যাকশন প্ল্যান’ পুরষ্কার পাই আমরা।”

অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় ২১টি দেশের পার্টিসিপেন্ট ছিলো। প্রত্যেকেই কোন না কোন সংগঠন বা উদ্যোগের সাথে যুক্ত। ফলে এখানে পুরষ্কার জয় করার কথা ভাবতেও পারিনি। কিন্তু চেষ্টা ছিলো ভালো কিছু করে দেখানোর। অনেক টাইট শিডিউলের মধ্যেও আমরা আইডিয়া নিয়ে বারবার আলোচনা করেছি এবং একটি নতুন আইডিয়া সকলের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে। চ্যাম্পিয়নের ঘরে যখন অন্যদের সাথে বাংলাদেশের নামও লেখা ছিলো তখন নিজেকে অনেক গর্বিত মনে হচ্ছিলো। দেশের নাম বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারা সবসময়ই সম্মানের ও গর্বের।”favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment