ফুডিফাই একটি রেস্টুরেন্টের নাম

ফুডিফাই একটি রেস্টুরেন্টের নাম

  • খন্দকার ফাইজা আহমেদ

শিরোনাম দেখে কি বিস্মিত হচ্ছেন? বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই, কারণ ফুডিফাই নামের এই রেস্টুরেন্ট  ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ওয়াইফাই যেমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় তেমনি ফুডিফাই হলো ভোজনরসিকদের জন্য আকর্ষণীয়, এমনটাই জানান ফুডফাইয়ের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী প্রায় দেড় বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে তাঁর এ স্টার্টআপ নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তবে ওয়াহিদুজ্জামান জানান, তার স্বপ্নের শুরু আরও আগে। খাঁটি বিডি নামক একটি জুস পার্লারের মধ্য দিয়ে তার স্বপ্ন সূচনা। পরবর্তীতে তার এ পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় এবং তার অনুপ্রেরণায় ফুডিফাই শুরু করে পথচলা।

শুরুতে সাত জন উদ্যোক্তা ও ৩২ জন সদস্য থাকলেও বর্তমানে আট জন কর্মচারীসহ সম্পূর্ণ ব্যবসা নিজেই পরিচালনা করছেন ওয়াহিদুজ্জামান। অন্য সবার মতো তাঁর যাত্রাও ছিল কষ্টকর।  সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন,  ‘যে ছেলে কোনো কিছুই জানতো না, আজ সে রেস্টুরেন্টের সব কাজেই দক্ষ।’

তবে শুরুতে কষ্ট হলেও বর্তমানে তিনি অনেকটাই সফল। তবে তার বর্তমান উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ভোক্তাদের আগ্রহী করে তোলা। তার মতে তিনি সবসময় ভোক্তাদের চাহিদার প্রাধান্য দিয়ে  থাকেন। যেহেতু ভোক্তাদের বেশিরভাগই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, তাই স্বাদ ও মানের সঙ্গে সঙ্গে দামের দিকেও নজর রাখেন তিনি। প্রথমে তৈরিকৃত খাবার পরিবেশন করলেও এখন আছে লাইভ কিচেনের সুব্যবস্থা। অর্থাৎ অর্ডার করার পর পরিবেশন করা হবে গরম ও টাটকা খাবার। ক্যাম্পাসের অফিসে যারা ব্যাস্ততার জন্য এখানে এসে খাবার সুযোগ পান না, তাদের সুবিধার জন্য ডেস্কে সময়মতো পৌঁছে যায় তাদের পছন্দের খাবার।

নতুন যেসব উদ্যোক্তা এ পেশায় আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘নতুন কিছু করতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করার মনোভাব থাকতে হবে। নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে অবশ্যই ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায় থাকতে হবে।’

Sharing is caring!

Leave a Comment