উদ্যোক্তা নারীদের সেবায় ‘স্বাধীন নারী’

উদ্যোক্তা নারীদের সেবায় ‘স্বাধীন নারী’

  • গাজী আনিস

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছেন নারীরা। দিনে দিনে নারীদের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। তবে সর্বক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হবার দিক থেকে নারীরা অনেকটা পিছিয়ে। নারী অধিকারের মধ্যে নারীদের অর্থনৈতিক মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলেই তবে প্রকৃত মুক্তি মিলবে, তারা গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিকার বুঝে পাবেন। এই অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে কাজের সুযোগের পাশাপাশি নারীদের শ্রমের যথাযথ মূল্যটুকু দিতে হবে। আর এতেই ক্রমে ক্রমে নারীরা আত্মনির্ভরশীলতার পথে এগিয়ে যাবে।

উল্লিখিত বিষয়গুলো মাথায় রেখে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ‘স্বাধীন নারী’ নামে একটি সংগঠন। “নারীর আত্ননির্ভরশীলতা, এনে দিবে অর্থনৈতিক সফলতা”  প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। মূলত উদ্যোক্তা নারীদের সঙ্গে ক্রেতাদের সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে ‘স্বাধীন নারী’ ই- প্লাটফর্মটি। এতে নারীরা গ্রাম কিংবা শহর থেকে নিজেদের মতো করে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। এর ফলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যাবে এবং ক্রেতারা তাদের সাধ্যের মধ্যে পণ্য কিনতে পারবে। ফলে নারীরাও সঠিক দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে। সহজেই মূল্যটা কাছে পাবেন।

ইতোমধ্যে সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রাম পর্যায়ে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ শুরু করছে।  এছাড়া বিভিন্ন কর্মশালা এবং সচেতনতা মূলক কাজ করছে সংগঠনটি। প্রান্তিক নারীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিকল্পিত ব্যবসা নিয়ে অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ে কীভাবে বেশি উপার্জন করা যাবে সে বিষয়েও কাজ করছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নারীদের নিয়ে স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা এবং মেধা বিকাশের লক্ষ্যে কাজ করবে স্বাধীন নারী প্লাটফর্মটি। যাতে করে নারীরা নিজে স্বাবলম্বী হয় এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ দিন দিন বৃদ্ধি পায়।

এ বিষয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আশিক আল মামুন বলেন, স্বাধীন নারী তাদের কর্ম-পরিকল্পনায় ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪,৫৫০ টি ইউনিয়নে তাদের কার্যক্রম  বিস্তার এবং ২০ হাজার নারীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চায়। ইতোমধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং লালমনিরহাট জেলার ইউনিয়নগুলোতে সংগঠনটি কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এর কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে সংগঠনটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিযোগিতা হাল্ট প্রাইজে অংশগ্রহণ করে ক্যাম্পাস রাউন্ডে ২য় রানার আপ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

Sharing is caring!

Leave a Comment