আনারসের দোষ-গুণ

আনারসের দোষ-গুণ

  • রিক্তা রিচি

বর্ষাকালীন ফল হলেও প্রায় সারা বছর পাওয়া যায় আনারস। আনারসের বৈজ্ঞানিক নাম আনানাস স্যাটিভাস। আনারসেই লুকিয়ে আছে হৃদরোগসহ অন্যান্য রোগ ঠেকানোর দাওয়াই। সুমিষ্ট গন্ধ, অম্ল মধুর রস এবং স্বাদের কারণে অনেকেরই প্রিয় ফল আনারস। স্বাদের পাশাপাশি আনারসের রয়েছে দারুণ পুষ্টিগুণ। বহুগুণে গুণান্বিত আনারসের রয়েছে কিছু অপকারী দিক। আসুন জেনে নিই আনারসের উপকারী ও অপকারী দিকগুলো।


আনারসের উপকারীতা

.

১. হজমশক্তি বাড়ায় : আনারসে ডায়াটারি ফাইবার নামে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। আনারসে বিদ্যমান এই ফাইবারগুলি হজমশক্তি বাড়িয়ে দেয়।

২. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর : আনারসে বিদ্যমান ফাইবার পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। পেট ভার হয়ে থাকা, এবং অস্বস্তিভাব দূর করে আনারস।

৩. টিউমার, ফোঁড়া প্রতিরোধ : আনারসে প্রচুর পরিমাণ ব্রোমোলিন রয়েছে। এই ব্রোমোলিন টিউমার, ফোঁড়া প্রতিরোধ করে।

৪. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : রাতে ঘুম হচ্ছেনা? টেনশনে আছেন? কাজের চাপে বেড়ে গেছে রক্তচাপ? আনারস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঔষধের পাশাপাশি নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন আনারস।full_1181947883_1440486217

৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : আমাদের শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যেকোনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আনারসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৬. রক্ত পরিষ্কার রাখতে সহায়ক : রক্ত পরিষ্কার এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে আনারস। এছাড়া রক্ত জমাট দূর করতে আনারস উপকারী।

৭. সর্দি, কাশি দূর : ঠান্ডা লাগা, সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করে আনারস। কাশি, গলা ব্যথা, গলা জ্বালা করা, শ্লেষ্মা জমা ইত্যাদি প্রতিরোধে আনারস কার্যকরী ভুমিকা রাখে।

৮. অন্যান্য গুনাগুণ : আনারসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি যা ত্বক এবং চুলের জন্য খুব উপকারী। হাড়কে শক্ত রাখে আনারস। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

.

আনারসের অপকারী দিক

.

১. এলার্জি সমস্যা : আনারস খাওয়ার কারণে অনেকের শরীরে এলার্জি দেখা দিতে পারে। তাই আনারস কেটে তারপর লবণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিবে না।

২. বাতের ব্যাথা : যাদের বাতের ব্যাথা আছে তাদের আনারস না খাওয়াটাই উচিত। আনারস খাওয়ার পর তা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল নালীতে পৌছে অ্যালকোহলে পরিণত হয়। এই কারণে বাতের ব্যাথা হয়।

image_98039.pineapple-main৩. রক্তে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি : আনারসে অনেক বেশী পরিমাণ প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে। চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারস বেশী পরিমাণে খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই সপ্তাহে দু’ বার আনারস খেতে পারেন তার অতিরিক্ত নয়।

৪. দাঁতের জন্য ক্ষতিকর : যাদের দাঁতে কেভিটিস আছে তাদের আনারস না খাওয়া ভালো। কারণ আনারস দাঁতের জন্য ভালো নয়।

৫. নারীর গর্ভপাত : গর্ভাবস্তায় আনারস খেতে হয় না। এতে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। গর্ভাবস্তার পরে চিকিতসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন আনারস।favicon59

Sharing is caring!

1 Comment on this Post

  1. আনারস নিয়ে লেখাটি পড়লাম অনেক ভালো লেগেছে, অনেক উপকারী একটি লেখা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

    Reply

Leave a Comment