শিক্ষিত ও তরুণদের মধ্যে বেকার বেশি

শিক্ষিত ও তরুণদের মধ্যে বেকার বেশি

  • নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপের তথ্যানুযায়ী ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে এই দেড় বছরে বাংলাদেশে ১৪ লাখ নতুন শ্রমশক্তি দেশের শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছে, কর্মসংস্থানও হয়েছে ১৪ লাখ। বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ৩ থেকে কমে ৪ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে।

এরপরেও বেকারত্বের সংখ্যা ২৬ লাখ রয়ে গেছে। যে তরুণদের নিয়ে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ এর কথা বলা হয় সেই তরুণদের মাঝেই বেকারের হার সবচেয়ে বেশি ১০ দশমিক ৪ ভাগ লক্ষ্য করা গেছে। তা ছাড়া উচ্চ শিক্ষিতদের ১২ ভাগের বেশি বেকার রয়ে গেছে।

গতকাল বিবিএস ভবনে শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীর ১০ দশমিক ৪ ভাগ বেকার। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সংজ্ঞানুযায়ী যারা সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টা কর্মে নিয়োজিত থাকবেন তারা আর বেকার নন। বাংলাদেশে সপ্তাহে এক ঘণ্টাও কাজ করতে পারেন না এমন বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ। অন্যদিকে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টার কম কাজ করেন অথবা নিজেদের উপযোগী নয়, তাই নতুন কাজ খুঁজছেন এমন ‘আন্ডার এমপ্লয়মেন্ট’ এর সংখ্যা ১৮ লাখ। অর্থাৎ দেশে প্রকৃত বেকারত্বের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪৪ লাখ।

প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল বিবিএস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কেএম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ঢাবি অধ্যাপক বরকত-ই-খুদা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য রুশিদান ইসলাম রহমান।

প্রকল্প পরিচালক কবির উদ্দিন আহমেদ মূল উপস্থাপনায় উল্লেখ করেন উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝে ১২ দশমিক ১ ভাগ বেকার। তাদের মধ্যে নারীদের হার বেশি, ১৫ শতাংশ। শহর অঞ্চলে বেকারত্বের হার (৪.৪%) গ্রামের তুলনায় (৪.১%) বেশি। দেশের কর্মক্ষম নারীদের ৬ দশমিক ৮ ভাগ বেকার, পুরুষদের মধ্যে ৩ শতাংশ বেকার।

কর্মসংস্থানে নিয়োজিত রয়েছে এমন জনগোষ্ঠীর ৩২ দশমিক ৮ ভাগ রয়েছে কৃষি খাতে। ১৫ দশমিক ৬ ভাগ রয়েছে সেবা খাতে। কারুশিল্প ও এ ধরনের অন্যান্য শিল্পে নিয়োজিত রয়েছে ১৬ দশমিক ২ ভাগ শ্রমশক্তি। ১৪ দশমিক ৪ ভাগ শ্রমিক রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে, যার ৩০ ভাগ রয়েছে গার্মেন্টস খাতে। তবে মোট শ্রমশক্তির সাড়ে ৩২ ভাগের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই।

দেড় কোটি শ্রমশক্তির প্রাথমিক শিক্ষা রয়েছে। ১ কোটি ৭৯ লাখ শ্রমশক্তি মাধ্যমিক গণ্ডি পেরিয়েছেন। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে শ্রমশক্তির ১৫ ভাগ কোনো মজুরি ছাড়াই শ্রম দিয়ে থাকেন, এর বড় অংশ পারিবারিক কাজে নিয়োজিত। তবে পারিবারিক খাতে মজুরি ছাড়া নিয়োজিদের সংখ্যা ১৮ দশমিক ৯ ভাগ কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment