ড্যাফোডিলে ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট

ড্যাফোডিলে ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট

  • বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক

দেশের নারী সমাজকে তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার ধারায় সম্পৃক্ততা বাড়াতে ও তথ্যপ্রযুক্তি চর্চায় উৎসাহিত করতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ন্যাশনাল গার্লস প্রোগ্রামিং কনটেস্ট-২০১৮’-এর তৃতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডাক টেলিযোগাযোগ ও আইটি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ডিভিশন ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সহযোগিতায় আজ সোমবার (২২ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন প্রমুখ।

সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা ১০২টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় দুইটি বিভাগে। বিভাগ-১ এ ছিল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা এবং বিভাগ-২ এ ছিল মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় টানা ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এর আগে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতায় তিন শতাধিক দল অনলাইনে অংশগ্রহণ করেছিল। সেখান থেকে নির্বাচিত এই ১০২টি দল জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এবারের প্রতিযোগিতায় ঢাকার ৫২ টি দল ও ঢাকার বাইরের ৫০ টি দল অংশগ্রহণ করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসনে আরা বেগম বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েরা উন্নতি করছে। আইটি সেক্টরেও তারা পিছিয়ে নেই। তবে যে মাত্রায় এগিয়ে থাকা উচিত ছিল সেই মাত্রা এখনো পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। ফ্রিল্যাংসিংয়ে বাংলাদেশের মেয়েদের অংশগ্রহণ মাত্র ৯ শতাংশ। এই হার দ্রুতই ৫০ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হোসনে আরা বেগম আরো বলেন, মেয়েদের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। কারণ মেয়েদের স্বালম্বী করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২৮ টি জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এসব হাইটেক পার্কে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অর্ধেক জায়গা খালি রাখা হয়েছে। স্টার্ট আপদের জন্য প্রতিটি হাইটেক পার্কে একটি করে ফ্লোর বরাদ্ধ রাখা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ে মেয়েদেরকে বিনামূল্যে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সফল উদ্ভাবনী প্রকল্পের জন্য ১০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পয়ন্ত ঋণ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ হরেন।

মেয়েদেরকে অসম্ভব মেধাবী উল্লেখ করে হোসনে আরা বেগম বলেন, পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে তালমিলিয়ে মেয়েরা এখন সবক্ষেত্রে মেধার সাক্ষর রাখছে। আগে বাংলাদেশের পরিচয় ছিল শ্রমিকনির্ভর জাতি। এখন আমরা ক্রমশ মেধানির্ভর জাতিতে পরিণত হচ্ছি। আজকেরই এই প্রোগ্রামিং কনটেস্ট তার উদাহরণ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মেয়েরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসেছে, এটা আমাদের যুগে কল্পনাও করা যেত না। এই মেয়েদের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেন হোসনে আরা বেগম।

Sharing is caring!

Leave a Comment