ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চেঞ্জ টুগেদার’ কর্মশালা

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘চেঞ্জ টুগেদার’ কর্মশালা

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

সুস্থ দেহ ও সুন্দর জীবন গঠনে শরীর চর্চ্চা, প্যারেড এবং ক্রীড়া মনোভাবকে উৎসাহিত করতে এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক উপযুক্ততা নিশ্চিত করতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চালু করেছে ‘চেইঞ্জ টুগেদার’ কর্মসূচী। এ কর্মসূচীর আওতায় শিক্ষক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘চেঞ্জ টুগেদার’ শীর্ষক কর্মশালা আজ শনিবার (১৩ মে) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ধানমন্ডি ক্যাম্পাসের ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়। অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরা  ক্যাম্পাস ও আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাসের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ একযোগ  এ কর্মশালায় সম্পৃক্ত হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান বলেন, নিজে পরিবর্তন না হলে অন্যকে পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করা যায় না। সেজন্য সবার আগে নিজের পরিবর্তন জরুরি। এসময় শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে নিজের সন্তান মনে করতে হবে। একজন বাবা মার মতোই যত্ন নিতে হবে শিক্ষার্থীদের। মনে রাখতে হবে তাদের টিউশন ফি থেকেই শিক্ষকদের বেতন প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেওয়ার সেতু হিসেবে শিক্ষকরা কাজ করেন উল্লেখ করে মো. সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিন, তাদের সাথে আন্তরিকভাবে মিশুন। তাদের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং সমাধান দিন। এ সময় তিনি সদ্য প্রয়াত জাগাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর এম কবিরের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তিনি শিক্ষার্র্থীদের মেইল দিতেন, হলে গিয়ে খোঁজ নিতেন।

মো. সবুর খান আরও বলেন, ইদানিং থাইল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যলয়গুলোতে রোবটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া শুরু হয়েছে। শিক্ষকের স্থান দখল করে নিচ্ছে রোবট। এটা কি শিক্ষকের জন্য লজ্জার নয়? এসময় মো. সবুর খান ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদেরকে যোগ্য শিক্ষকরুপে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকরাই পারেন শিক্ষার্থীদেরকে ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন করতে। এজন্য শিক্ষককে নিজে পরিবর্তন হতে হবে সর্বাগ্রে।  এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু, নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এ.কে.এম সারওয়ার ইনাম, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক তানভীর আহমেদ চৌধূরীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক মো. ইজাজ-উর-রহমান সজল।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment