ই-মেইল মার্কেটিং কী ও কেন

ই-মেইল মার্কেটিং কী ও কেন

  • উদ্যোক্তা ডেস্ক

ই-মেইল মার্কেটিং হলো ই-মেইল আদান-প্রদানের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবার বিপণন ব্যবস্থা। একটি সাধারণ উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বোঝানো যাক: আমাদের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় এসএমএস আসে। এই এসএমএসের মাধম্যে কোনো না কোনো পণ্যের বা প্রতিষ্ঠানের অফার থাকে।ঠিক তেমনি আমরা যখন কোনো অফার বা বিবরণ ইমেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর কাছে পৌছে দেব তখন তা হবে ইমেল মার্কেটিং।

ই-মেইল মার্কেটিংয়ের জন্য রয়েছে বিভিন্ন উপায় এবং সফটওয়্যার। তার মানে, ই-মেইল মার্কেটিং বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা হলো মার্কেটিংয়ের এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের ই-মেইলে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী প্রেরণ করা। যার ফলে কোম্পানির একদিকে যেমন বাড়ছে বিক্রয়ের পরিমাণ, তেমনি সম্প্রসারিত হচ্ছে তাদের সুনাম ও খ্যাতি। এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও দিন দিন বাড়ছে ই-মেইল মার্কেটিংয়ের কাজ। মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুযায়ী, ই-মেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে আয় করছে লাখ টাকাও বেশি।

কারা করবেন ই-মেইল মাকেটিং

অনেকের ধারণা শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় কিংবা অনলাইনে আয়ের জন্যই ই-মেইল মার্কেটিং  জানা দরকার। আসলে ধারনাটি ভুল। এসব ছাড়াও আরো অনেক কাজের জন্য ইমেইল মার্কেটিং জ্ঞান থাকাটা জরুরী। কারণ, অল্পসময়ে বেশী প্রচারের একমাত্র মাধ্যম হল ইমেইল মার্কেটিং।
১। আপনি কোনো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক আর আপনার কোন নুতন প্রোডাক্টকে প্রচার করবেন
২। যারা শিক্ষার্থী  এবং যাদের পার্ট টাইম চাকরি দরকার
৩। যারা গৃহিণী এবং বাইরে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না

ই-মেইল মার্কেটিংয়ে আয়ের খাত

১। পিএসডি ই-মেইল টেম্পলেট তৈরি করে আয়।আপনি যদি দৃষ্টিনন্দন ই-মেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে গড়ে ৪০০-৬০০ ডলার আয় করতে পারবেন।
২। এইচটিএমএল ই-মেইল টেম্পলেট তৈরি করে আয়।যদি আপনি এইচটিএমএল দিয়ে ই-মেইল টেম্পলেট এবং পিএসডি টু এইচটিএমএল ই-মেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে গড়ে ৫০০-১০০০ ডলার আয় করতে পারবেন।
৩। ই-মেইল কনটেন্ট  রাইটার হিসেবে আয়।রাইটারদের চাহিদা মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো লিখতে পারেন তাহলে ই-মেইল কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজ করলে আপনি মাসে গড়ে ২০০-৫০০ ডলার আয় করতে পারবেন।
৪। ই-মেইল লিস্ট বিল্ডিং করে আয়। ক্লায়েন্টের জন্য বিভিন্ন niches এর উপর ই-মেইল লিস্ট তৈরি করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি মাসে গড়ে ১০০-৩০০ ডলার আয় করতে পারবেন।  এছাড়া, ক্লায়েন্টের ই-মেইল লিস্ট তৈরি করে দেওয়ার সাথে সাথে দিন দিন নিজের পণ্য বা সেবার বিক্রয়ের বা এফিলিয়েশনের জন্য বিশাল ই-মেইল লিস্ট তৈরি হতে থাকে। বলতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি।
৫। অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়। অ্যাফিলিইয়েট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান clickbank, clicksure ইত্যাদিতে জড়িত হয়ে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য ই-মেইল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।  অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়ের পরিমাণ হিসেব করে বলা কষ্টসাধ্য। অ্যাফিলিয়েশন করে মাসে আয় করা যায় ৫০০ ডলার – আনলিমিটেড।

এছাড়া আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারবেন ই-মেইল মার্কেটিং জানা থাকলে। সুতরাং ইমেইল মার্কেটিং ভালভাবে শিখুন, ঘরে বসে ক্যারিয়ার গড়ুন।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment