শিশুর এসএমএসে জীবন বাঁচল ১৪ জনের

শিশুর এসএমএসে জীবন বাঁচল ১৪ জনের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত শুক্রবার ফ্রান্সের ক্যালে বন্দর থেকে একদল শরণার্থীকে ব্রিটেনে পাচার করা হচ্ছিল। ওই শরণার্থী দলে আফগানিস্তানের এক শিশুসহ ১৪ জন ছিলেন। ৬-৭ বছরের আফগান শিশুটির নাম আহমদ। ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরের কাছে একটি শিবিরে ছিল সে। সঙ্গে ছিল তার বড় ভাইও। ওই শিবিরে থাকাকালে এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী আহমদকে একটি মোবাইল উপহার দেন। এতে নিজের মোবাইল নাম্বারটি সেভ করে দেন ত্রাণকর্মী ইঙ্কা সোরেল।

হিমায়িত এক লরিতে করে ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনে পাচারের সময় মোবাইলে সংরক্ষিত ইঙ্কা সোরেলের মোবাইল নাম্বারে এসএমএস করে সে। ওই এসএমএসে আহমদ লিখেছে, I ned help darivar no stop car no oksijan in the car no signal iam in the cantenar. Iam no jokan valla.

ভুল বানানে ভরা ওই এসএমএস যখন ইঙ্কা সোরেল পেলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সেমিনারে ছিলেন তিনি। তবে এমন এসএমএস দেখেই বুঝতে পেরেছিলেন, আহমদ কোনো বিপদে রয়েছে। তাই ব্রিটেনে থাকা তার বন্ধু তানিয়া ফ্রেডম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। আর বন্ধুর ফোন পাওয়ার পর তানিয়া ছুটে যান পুলিশের কাছে।

অভিযোগ পাওয়ার পরই লরিটি আটকের অভিযানে নামে ব্রিটিনের পুলিশ। আহমদের কাছে থাকা মোবাইল নাম্বারটি ট্র্যাকিংয়ের সাহায্যে আটক করে লরিটি। আর বদ্ধ লরির ভেতর থেকে আহমদসহ ১৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

ব্রিটিনের পুলিশ জানিয়েছে, পাচারের সময় উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা এখন নিরাপদে আছেন। অভিবাসী পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে।

ইঙ্কা সোরেল জানান, গত মার্চ মাসে ফ্রান্সের ক্যালে বন্দরের কাছে একটি শিবির ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে- এমন তথ্য পাওয়ার পর সেখানে গিয়েছিলাম। শিবিরে থাকা শিশু আহমদকে ক্রেডিটসহ একটি মোবাইল দিয়ে বলেছিলাম, যেকোনো বিপদে পড়লে যেন ফোন করে। ওই মোবাইলে আমার মোবাইল নাম্বার সেভ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, শিশুটি তার এসএমএসে লিখেছে, ‘সে লরির পেছনে আটকা পড়েছে। চালক গাড়ি থামাচ্ছে না। এবং এর ভেতর থেকে তাদের বের হওয়ার কোনো উপায়ও নেই। আমি কোনো মজা করতে পারছি না।’favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment