যেভাবে কাজ করেন শীর্ষ ধনী ওর্তেগা

যেভাবে কাজ করেন শীর্ষ ধনী ওর্তেগা

  • ক্যারিয়ার ডেস্ক

সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ ধনীদের সঙ্গে যদি তুলনা করা হয়, তো এই বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তিটির নাম অ্যামানসিও ওর্তেগা তার সম্পদ প্রতিবছর বৃদ্ধি পায় বিলিয়ন ইউরো করে

অ্যামানসিও জারার মালিক। প্যারেন্ট কম্পানি ইনডেক্সের মালিকও বটে। ছাড়া তার অধীনে রয়েছে স্প্রলিং ব্রিক্স এবং মর্টার ফ্যাশন সাম্রাজ্য যার হাজার স্টোর রয়েছে গোটা বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন ৯১টি বাজারে। সব মিলিয়ে তার নেট সম্পদের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন ইউরো। তার ব্যবস্থাপনা প্রচলিত নিয়মের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তার কর্মআদর্শ নিয়ে গবেষণা করেছেন অনেকে। যদিও তার পরামর্শ আপনার ক্যারিয়ারের সফলতার গ্যারান্টি দেয় না, কিন্তু এই টিপসগুলো আপনাকে সঠিক পথ দেখাবে। বাকি আপনার ওপর। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তার কিছু কর্মআদর্শের কথা।

. ওর্তেগাকে যারা খুব কাছ থেকে চেনেন তাদের মতে, তার কখনো নিজের অফিস ছিল না। তার নেই কোনো টেবিল বা কম্পিউটার। বরং সহকর্মীদের সঙ্গে জারার অফিসের একটি কক্ষে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারেন তিনি।

. দারুণ পরিশ্রমী মানুষ হিসাবে তিনি সুপরিচিত। ইনটেক্সের দীর্ঘদিনের পুরনো সাবেক সিইও এবং ওর্তেগার ব্যবসার অংশীদার জোসে মারিয়া ক্যাস্টেলানো ৩১ বছর ধরে রয়েছেন তিনি। বলেন, ওর্তেগা তার প্রতিষ্ঠানের ছোট ছোট দলগুলোর সঙ্গে খুব সময় নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের প্রচুর সময় দেন তিনি।

. বিভিন্ন কোম্পানি ধরনের আলোচনা মেইলের মাধ্যমেই সারে। কিন্তু ওর্তেগা এসব আলোচনা সামনাসামনি করে থাকেন।

. কাগজপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ তিনিই সামলে থাকেন। ঘটনাক্রমে এটাই যেকোনো কাজের সবচেয়ে বিরক্তিকর ঝামেলার অংশ। এই কাজটি যতটা পারা যায় ওর্তেগাই সমাধান করে দেন।

. আমাদের বেশিরভাগই শোনার চেয়ে বলেন বেশি। কিন্তু এর বিপরীতে চলে ওর্তেগা। তিনিই তার কর্মীদের কথা শুধু শুনেই যান। অন্তর্কেন্দ্রিক হিসাবেও নাম রয়েছে তার। মানুষের মাঝে কথা বলা বা সম্মাননা নিতে লজ্জাবোধ করেন তিনি। তাই তাকে মিডিয়াতে একেবারেই দেখা যায় না।

. ইনডেক্সের মূল কর্মে তিনি তেমনভাবে থাকেন না। প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কর্মকর্তারাই এগুলো সামলে নেন।

আসলে ব্যবসার মোগল হিসাবে এই স্পেনিশ ব্যবসায়ীর অস্বিত্ব তেমনভাবে উপলব্ধি করা যায় না। সবকিছুই তার যেন ব্যক্তিগত বিষয়। এটা হয়তো তার বিপুল সফলতার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। জারার ৫৫ শতাংশ উৎপাদনই ঘটে স্পেন, পর্তুগাল এবং মরোক্কোতে। কিন্তু অন্যান্য বড় বড় ফ্যাশন হাউজগুলো এশিয়াতেই তাদের পণ্য বানিয়ে থাকে।

দেখা গেছে, জারার স্টোরগুলোতে পণ্য অন্যান্য ফ্যাশন হাউজের তুলনায় দ্বিগুন হারে জমা পড়ে। ইনডেক্সের শেয়ারের মূল্য দশগুর হারে বৃদ্ধি পায়। প্রতিযোগীদের তুলনায় তা অনেক বেশি হারেই বাড়ে।

সূত্র: ইনডিপেনডেন্টfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment